হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী
قَالَ الصَّادِقُ عَلَیْهِ السَّلاٰمُ :لَمَّا مَاتَ اِبْرَاھِیْمُ بْنُ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّی اللّٰهُ عَلَیْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمْ حَمَلَتْ عَیْنُ رَسُوْلِ اللّٰهِ بِالدُّمُوْعِ ثُمَّ قَالَ النَّبِیُّ صَلَّی اللّٰهُ عَلَیْهِ وَآلِهِ : تَدْمَعُ الْعَیْنُ وَیَحْزَنُ الْقَلْبُ وَلاَنَقُوْلُ مَا یُسْخِطُ الرَّبَّ وَاِنَّا بِكَ یَا اِبْرَاھِیمُ لَمَحْزُوْنُوْنَ
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : "যখন আল্লাহর রাসূলের পুত্র হযরত ইব্রাহিম মৃত্যুবরণ করেন, তখন তাঁর (সাঃ) চোখ অশ্রুতে ভরে যায় এবং তারপর তিনি বললেন : চোখ কাঁদবে এবং হৃদয় দুঃখিত হবে। কিন্তু আল্লাহর কাছে কোনও অভিযোগ করব না।
হে ইব্রাহিম! আমি তোমার শোকে কাতর ও ব্যথিত।
উল্লেখিত হাদীস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, কান্না একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কারণ যখন নবী করিম (সাঃ)-এর পুত্র হযরত ইব্রাহিম মৃত্যুবরণ করেন তখনও তিনি নবী ছিলেন কিন্তু তিনি পুত্র শোকে কেঁদেছিলেন। যদি ক্রন্দন করা পাপ হয়, তাহলে মহানবী (সাঃ) মহিলাদেরকে হযরত হামযার লাশের উপর একত্রিত হয়ে নওহা পাঠের জন্য কেন অনুমতি দিলেন? মহানবী নিজেই হযরত হামযার জন্য বিলাপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদি বিলাপ করা জায়েয না হতো, তাহলে আল্লাহর নবী হযরত ইয়াকুব (আঃ) কেন তাঁর পুত্র হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর বিচ্ছেদ-বেদনার জন্য এত পরিমাণে বিলাপ করলেন যে, তিনি তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন?